রবিবার, ২৮ ফেব্রুয়ারী ২০২১, ০৬:৫২ পূর্বাহ্ন
ঢাকা টেস্টের চতুর্থ দিনের খেলা চলছে মিরপুর শের-ই-বাংলায়। সকাল সাড়ে নয়টায় ম্যাচটি শুরু হয়েছে। এদিন টাইগারদের স্পিনে মধ্যাহ্নবিরতির পরই গুটিয়ে গেলো ওয়েষ্ট ইন্ডিজ। এই ম্যাচ জিততে এখন নিজেদের আগের রেকর্ড ভাঙতে হবে বাংলাদেশের। ঘরের মাঠে বাংলাদেশ দলের সর্বোচ্চ রান তাড়া করে জেতার রেকর্ড মাত্র ১০১ রানের। ২০১৪ সালে জিম্বাবুয়ের বিপক্ষে এ জয় পেয়েছিল বাংলাদেশ।
দ্বিতীয় ইনিংসে উন্ডিজের বিপক্ষে সর্বোচ্চ ৪ উইকেট পেয়েচেন তাইজুল ইসলাম। আরেক স্পিনার নাইম হাসান নিয়েছেন ৩ উইকেট এবং মিরাজ ১ উইকেট। এছাড়া পেসার আবু জায়েদ নিয়েছেন ২ উইকেট।ঢাকা টেস্টের চতুর্থ দিনের প্রথম সেশনের দিকে চোখ ছিল দুই দলেরই। রান যাই হোক, কোনো উইকেট না হারিয়ে মধ্যাহ্ন বিরতিতে যেতে চেয়েছিল ওয়েস্ট ইন্ডিজ। শনিবার দিন শেষে এমন পরিকল্পনার কথাই জানিয়েছিলেন প্রথম ইনিংসে ৫ উইকেট শিকারি রাহকিম কর্নওয়াল।কিন্তু ঘটল তার উল্টোটাই। মাত্র ১৬ রানে ৪ উইকেট হারিয়ে ১১৭ রানে গুটিয়ে গেল সফরকারীরা।তৃতীয় দিনের খেলা শেষে দলের প্রতিনিধি হয়ে সংবাদ সম্মেলনে এসে ওয়েস্ট ইন্ডিজের লিড আড়াইশ রানের মধ্যে আটকে রাখার কথা জানিয়েছিলেন মেহেদি হাসান মিরাজ। আবু জায়েদ রাহি, তাইজুল ইসলামদের দুর্দান্ত বোলিংয়ে ক্যারিবীয়দের লিড দাঁড়িয়েছে ২৩০ রানের, ম্যাচ জিততে বাংলাদেশের প্রয়োজন ২৩১ রান।প্রথম সেশনে ২৭ ওভারে বাংলাদেশ রান দিয়েছে ৫৭। উইকেট তুলে নিয়েছে ৩টি। রাহি-তাইজুল অল্প রানে ফিরিয়েছেন মেয়ার্স ও ব্ল্যাকউডকে।
যদিও বাংলাদেশ দলের মাথা ব্যাথার কারণ হতে পারত জসুয়া-বোনার জুটি। প্রথম ইনিংসে এ জুটি ছিলেন দুর্দান্ত। যথাক্রমে ৯০ ও ৯২ রানের বীরোচিত ইনিংস খেলেন বোনার ও জসুয়া।আজ এ দুই মিডলঅর্ডার ব্যাটসম্যান দাঁড়িয়ে গেলে কিচ্ছু করার থাকবে না বাংলাদেশের। কিন্তু সেই শঙ্কাও দূর করে দিলেন তাইজুল।মধ্যাহ্ন বিরতির পর দ্বিতীয় ওভারেই জসুয়া-বোনার জুটিতে ভাঙন ধরালেন এ বাঁহাতি স্পিনার। তাইজুলের ওভারের তৃতীয় বলে ব্যাট চালাতে গিয়ে স্লিপে ক্যাচ তুলে দেন জসুয়া। মুহূর্তেই তা লুফে নেন সৌম্য সরকার। মধ্যাহ্নবিরতির যাওয়ার আগে করা ২০ রানের সঙ্গে একটি রানও যোগ করতে পারেননি জসুয়া।এরপর ক্রিজে টিকে থাকতে পারলেন না আলজারি জোসেফও। ফের তাইজুলের আঘাত।পরের ওভারের দ্বিতীয় বলেই জোফেসকে সাজঘরের পথ দেখালেন তাইজুল। এবার সিলি মিড-অফে দাঁড়ানো শান্তর হাতে ক্যাচ দিয়ে ৯ রানে ফিরলেন জোসেফ।
জোসেফের পর টিকলেন না বোনারও। নাঈমের বলে রিভার্স সুইপ খেলতে গিয়ে সরাসরি বোল্ড হলে বোনার। ১২০ বলে ৩৮ রানে ফিরলেন তিনি। এরপর একই ওভারে নাঈমের শিকার হয়ে ১ রান করে ফিরলেন কর্নওয়াল। ১১৭ রানে অলআউট হয়ে গেল ওয়েষ্ট ইন্ডিজ। অর্থাৎ জয় পেতে বাংলাদেশের দরকার ২৩১ রান।
এই ম্যাচ জিততে এখন নিজেদের আগের রেকর্ড ভাঙতে হবে বাংলাদেশের। ঘরের মাঠে বাংলাদেশ দলের সর্বোচ্চ রান তাড়া করে জেতার রেকর্ড মাত্র ১০১ রানের। ২০১৪ সালে জিম্বাবুয়ের বিপক্ষে এ জয় পেয়েছিল বাংলাদেশ।তবে সবমিলিয়ে বাংলাদেশের সর্বোচ্চ রান তাড়া করে জেতার রেকর্ডটা ওয়েস্ট ইন্ডিজের বিপক্ষেই। ২০০৯ সালে তাদের মাটিতে ২১৭ রানের লক্ষ্য তাড়া করে জিতেছিল বাংলাদেশ।তবে মিরপুরের শেরে বাংলা জাতীয় ক্রিকেট স্টেডিয়ামে আবার এত রান তাড়া করে জেতার নজির নেই একটিও। ২০১০ সালে বাংলাদেশের দেয়া ২০৯ রানের লক্ষ্য ১ উইকেট হারিয়েই ছুঁয়ে ফেলেছিল ইংল্যান্ড। হোম অব ক্রিকেটে এটিই সর্বোচ্চ রান তাড়া করে জেতার রেকর্ড।