বৃহস্পতিবার, ৩০ Jun ২০২২, ০৯:২৭ পূর্বাহ্ন
করোনা নিয়ন্ত্রণে আগামী ৫ আগস্ট পর্যন্ত ‘কঠোর লকডাউন’ চলাকালিন সময়ে ১ আগস্ট থেকে হঠাৎ শিল্প কারখানা খোলার সিদ্ধান্তে ঢাকা- চট্টগ্রাম মহাসড়কে যাত্রীদের উপচে পড়া ভীড় দেখা গেছে। বেড়েছে যানবাহনের চাপ। বাস ব্যতিত সকল পরিবহনই চলছে মহাসড়কে। গন্তব্যে পৌঁছতে যাত্রীরা কখনও উঠছেন ট্রাক- পিকআপে, কখনও সিএনজি অটোরিক্সায় আবার কখনও মাইক্রোবাস-প্রাইভেটকারে। প্রতিটি স্টেশন এলাকায় যাত্রীদের উপচে পড়া ভীড় দেখা গেছে।
ঢাকা- চট্টগ্রাম মহাসড়কের কুমিল্লার চৌদ্দগ্রাম, মিয়াবাজার, সুয়াগাজী, পদুয়ার বাজার, আলেখারচর, ক্যান্টনমেন্ট, নিমসার, চান্দিনা, মাধাইয়া, গৌরীপুর, দাউদকান্দিসহ মহাসড়কের বিভিন্ন এলাকা ঘুরে দেখা গেছে প্রতিটি স্টেশন এলাকায় শতশত যাত্রী গাড়ির অপেক্ষায় দাঁড়িয়ে আছে। রাজধানী ঢাকায় সরাসারি পৌঁছতে তেমন পরিবহন না থাকায় এক স্টেশন থেকে অন্য স্টেশনে নেমে পরিবহন বদল করে গন্তব্যের দিকে ছুটছে পোশাক শ্রমিক ও রপ্তানীমুখী শিল্প প্রতিষ্ঠানে কর্মরত শ্রমিক, কর্মকর্তা-কর্মচারীরা। কেউবা প্রতিটি স্টেশনে ঘন্টার পর ঘন্টা দাঁড়িয়ে আছে আবার কেউবা যে পরিবহনই পাচ্ছে ভাড়ার তোয়াক্কা না করে দ্রুত স্টেশন বদল করছে।
নোয়াখালী থেকে আসা পোশাক কারখানা শ্রমিক জোবেদা বেগম জানান- ‘লকডাউনে গার্মেন্টস বন্ধ থাকবো, তাই বাড়িতে চইল্যা আইছি। এহন আবার গাড়ি না ছাইড়া গার্মেন্টস খুইল্যা দিছে, আমরা বাড়ি থেইক্কা যামু কেমনে’। তিনি জানান- নোয়াখালী থেকে সিএনজি অটোরিক্সা, মাইক্রোবাস ও পিকআপে চড়ে ১ হাজার টাকা খরচ করে চান্দিনা পৌঁছেন। যা বাস যোগে ১শ টাকার ভাড়া। গাজীপুর পর্যন্ত পৌঁছতে কতটাকা খরচ হবে বা কিভাবে যাবেন তা নিয়ে দুশ্চিন্তায় আছেন তিনি।
অপর শ্রমিক দিলরুবা বলেন- ‘সরকার আমাগো মাথা খারাপ কইরা দিবো। একবার কয় বন্ধ, আবার কয় খোলা! এক মাসে যে ট্যাহা বেতন পায়াম গাজীপুর যাইতেই তার চেয়ে বেশি লাগবো’। এ ব্যাপারে হাইওয়ে পুলিশ ময়নামতি ক্রসিং থানার অফিসার ইন-চার্জ (ওসি) মো. আনিছুর রহমান জানান- শ্রমিকরা নিরুপায় হয়ে গেছে। এই অবস্থায় তাদের গন্তব্যে পৌঁছা একটি বড় চ্যালেঞ্জ হয়ে দাঁড়িয়েছে। যাত্রীদের দুর্ভোগ আমাদেরও নজরে এসেছে।