শুক্রবার, ২৬ ফেব্রুয়ারী ২০২১, ১২:৫০ পূর্বাহ্ন
গত কয়েকদিন ধরে অভিনেতা, প্রযোজক, পরিচালককে আইনি নোটিশ পাঠানো, প্রযোজকের থানায় জিডি, সামাজিক যোগাযোগের মাধ্যম সমালোচনার কারণে ‘বিজয়া’ নাটকটির প্রচার স্থগিত করা হয়েছে। আসন্ন দুর্গাপূজা উপলক্ষে নির্মিত এ নাটকে সনাতন ধর্মাবলম্বীদের ধর্মীয় অনুভূতিতে আঘাতের অভিযোগ এনে অভিনেত্রী নুসরাত ইমরোজ তিশাসহ চারজনকে আইনি নোটিশ পাঠানো হয়।
তারই প্রেক্ষিতে নাটকটির প্রচার স্থগিত করেছে প্রযোজনা প্রতিষ্ঠান ক্রাউন এন্টারটেইনমেন্ট। বুধবার (১৪ অক্টোবর) গণমাধ্যমকে এ তথ্য নিশ্চিত করেন ‘বিজয়া’ নাটকের পরিচালক আবু হায়াত মাহমুদ। তিনি বলেন, ‘আমরা শিল্প-সংস্কৃতির চর্চা করি মানুষে মানুষে সম্প্রীতি ও ভালোবাসা বাড়ানোর জন্য। কিন্তু যদি উল্টোটা হয় তাহলে হতাশ না হয়ে উপায় নেই। একজন শিল্পী বা পরিচালক হিসেবে নানা গল্পে, নানা চরিত্র পর্দায় ফুটিয়ে তোলার চেষ্টা করি আমি। আমি যখন কাজ করি, আমার ইউনিটে ৩০-৪০ জন সদস্য থাকে। লাইট, ক্যামেরা, প্রোডাকশন, এডিটর, ডিওপি, আর্টিস্ট, মেকআপ, পরিবহন, সেট প্রপস নানা ডিপার্টমেন্টে তারা কাজ করেন। এখানে নানা ধর্মের বন্ধুরা থাকে। এখন পর্যন্ত কোনো দিন মনে হয়নি অমুক এই ধর্মের, সে ওই ধর্মের।’
তিনি আরও বলেন, ‘আমরা চেষ্টা করি অসাম্প্রদায়িক একটা দেশ ও সমাজের প্রতিনিধিত্ব করতে। তার পরও যখন আমার বিরুদ্ধে, আমার চমৎকার শিল্পীমনা টিমের বিরুদ্ধে অভিযোগগুলো আসল তা মেনে নিতে পারছি না। অনেক ভেবেচিন্তে আমার নাটকের প্রযোজনা প্রতিষ্ঠান ‘বিজয়া’ নাটকটি আপাতত প্রচার না করার সিদ্ধান্ত নিয়েছে। আমরা কোনো ঝামেলা চাই না।’
আবু হায়াত মাহমুদ বলেন, ‘যেহেতু এই নাটকটি নিয়ে বিশাল একটি সম্প্রদায় আপত্তি তুলেছেন তাদের বিন্দুমাত্র কষ্ট দেয়ার ইচ্ছা আমাদের নেই। সনাতন হিন্দু ধর্মাবলম্বী ভাই বোনদের দুর্গাপূজার উৎসবকে রঙিন করতে ও কেউ যেন কোনো কারণে মনে কষ্ট নিয়ে না থাকেন সে জন্য নাটকটির প্রচার আপাতত স্থগিত করা হচ্ছে। পরে আপনাদের নীতিনির্ধারকদের সাথে আলোচনার মাধ্যমে প্রয়োজনীয় সিদ্ধান্ত আমরা নেব।’