সোমবার, ০১ মার্চ ২০২১, ১১:০৭ অপরাহ্ন
যশোর ব্যুরো :
ফেনীর সোনাগাজীতে মাদরাসাছাত্রী নুসরাত জাহান রাফির ভিডিও ফুটেজ সামাজিকমাধ্যমে ছড়িয়ে দেয়ায় ওসি মোয়াজ্জেমকে কারাদণ্ড দেয়ার ঘটনাকে মিডিয়া ট্রায়ালে সাজানো মামলায় সাজা হয়েছে বলে মন্তব্য করেছেন তার ভাই খন্দকার আরিফুজ্জামান।
ফেনীর সোনাগাজীতে মাদরাসাছাত্রী নুসরাত জাহান রাফির ভিডিও ফুটেজ সামাজিকমাধ্যমে ছড়িয়ে দেয়ায় ওসি মোয়াজ্জেমকে কারাদণ্ড দেয়ার ঘটনাকে মিডিয়া ট্রায়ালে সাজানো মামলায় সাজা হয়েছে বলে মন্তব্য করেছেন তার ভাই খন্দকার আরিফুজ্জামান।
বৃহস্পতিবার দুপুরে সাইবার ট্রাইব্যুনালে রায় ঘোষণার পর প্রতিক্রিয়ায় তিনি তিনি বলেন, ব্যারিস্টার সুমনের মিথ্যা ও সাজানো মামলায় ওসি মোয়াজ্জেম হোসেনকে সাজা দেয়া হয়েছে।
ডিজিটাল সিকিউরিটি আইনের (আইসিটি) মামলায় আট বছরের সশ্রম কারাদণ্ড হয়েছে ওসি মোয়াজ্জেমের। একই সঙ্গে তাকে ১৫ লাখ টাকা অর্থদণ্ড দেয়া হয়েছে, অনাদায়ে আরও এক বছর কারাদণ্ড ভোগ করতে হবে তাকে।
জরিমানার টাকা নুসরাতের পরিবারকে দিতে বলা হয়েছে রায়ে।
বৃহস্পতিবার সাইবার ট্রাইব্যুনালের বিচারক মোহাম্মদ আস-শামস জগলুল হোসেন এ রায় ঘোষণা করেন। এটি বাংলাদেশে ডিজিটাল নিরাপত্তা আইনে দায়ের হওয়া কোনো মামলার প্রথম রায়।
বেলা ২টা ২০ মিনিটে বাংলাদেশ সাইবার ট্রাইব্যুনালের বিচারক মোহাম্মদ আস-শামস জগলুল হোসেন এজলাসে আসন গ্রহণ করেন। বেলা ২টা ১৭ মিনিটে ওসি মোয়াজ্জেমকে কাঠগড়ায় তোলা হয়। এর পর রায় পড়া শুরু করেন আদালত।
খন্দকার আরিফুজ্জামান বলেন, ব্যারিস্টার সৈয়দ সায়েদুল হক সুমনের মামলা করার এখতিয়ার নেই। তারপরও তার মিথ্যা ও সাজানো মামলায় ওসি মোয়াজ্জেম হোসেনকে সাজা দেয়া হয়েছে। মিডিয়া ট্রায়ালের কারণে সাজানো মামলায় সাজা দেয়া হলো।
তিনি আরও বলেন, আমার ভাই ন্যায়বিচার পায়নি। উচ্চ আদালতে আপিল করা হবে। আশা করছি, সেখানে ন্যায়বিচার পাবো।