শুক্রবার, ২৬ ফেব্রুয়ারী ২০২১, ০৯:২২ অপরাহ্ন
কাকন রেজা,নিজস্ব প্রতিবেদক :
সিলেট এমসি কলেজে ধর্ষণের অভিযোগে এদের আসামি করা হয়েছে। উপরে- রবিউল তারেক ও রনি; নিচে-সাইফুর, মাহফুজ ও অর্জুন
সিলেটের এমসি কলেজে স্বামীর সঙ্গে ঘুরতে গিয়ে ধর্ষণের শিকার হয়েছেন এক নববধূ। গেলো শুক্রবার রাতে টিলাগড় এলাকার কলেজটিতে। ওই তরুণীকে ক্যাম্পাস থেকে তুলে ছাত্রাবাসে নিয়ে ধর্ষণ করা হয় বলে পুলিশের পক্ষ থেকে জানানো হয়েছে।
সিলেট মহানগর পুলিশের অতিরিক্ত উপ-কমিশনার জ্যোতির্ময় সরকার গণমাধ্যমকে বলেন, ওই নববধূ তার স্বামীর সঙ্গে এমসি কলেজে ঘুরতে আসেন। এক পর্যায়ে তার স্বামী সিগারেট খাওয়ার জন্য কলেজের গেইটের বাইরে বের হন।
এসময় ৬ থেকে ৭ জন যুবক তরুণীকে জোরপূর্বক তুলে নিয়ে নিয়ে এমসি কলেজ ছাত্রাবাস এলাকায় নিয়ে গিয়ে ধর্ষণ করে। এসময় তার স্বামী প্রতিবাদ করলে তাকে মারধর করা হয়।
খবর পেয়ে পুলিশ রাত সাড়ে ১০টার দিকে ওই তরুণীকে সিলেট এমএজি ওসমানী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের ওয়ান স্টপ ক্রাইসিস সেন্টারে ভর্তি করছে। পুলিশ দুর্বৃত্তদের ধরতে অভিযান শুরু করেছে।
এদিকে এ ঘটনায় ছাত্রলীগের ছয় কর্মীর নাম উঠে এসেছে। এ ঘটনায় অভিযুক্তদের ছবি ইতিমধ্যেই সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে ভাইরাল হয়েছে। এর মধ্যে সাইফুর রহমান নামে একজনের কক্ষ থেকে অস্ত্র উদ্ধার করেছে পুলিশ।
শনিবার ভোর রাতে ওই ছাত্রাবাসে সাইফুরের কক্ষ থেকে একটি পাইপগান, চারটি রামদা, একটি ছুরি ও দুটি লোহার পাইপ উদ্ধার করে পুলিশ।
ধর্ষকরা ফেসবুকে সক্রিয় থাকলেও এখন পর্যন্ত ধর্ষণের ঘটনায় অভিযুক্ত কাউকে ধরতে পারেনি পুলিশ।
গণধর্ষণের মামলার ৫ নম্বর আসামি রবিউল ইসলাম শনিবার সকাল ১১টার দিকে ফেসবুকে লেখেন, ‘আমিএই নির্মম গণধর্ষণের সাথে জড়িত নই, আমাদের পরিবার আছে। যদি আমি এই জঘন্য কাজের সাথে জড়িত থাকি তাহলে প্রকাশ্যে আমাকে দৃষ্টান্তমূলক শাস্তি দেওয়া হোক। আমাকে এবং আমার প্রাণের সংগঠন ছাত্রলীগের নামে কোনো অপপ্রচার করবেন না।
মামলার ৬ নম্বর আসামি মাহফুজুর রহমান মাসুম ফেসবুকে লেখেন, ‘এরকম জঘন্য কাজের সাথে আমি জড়িত না। যদি জড়িত প্রমাণ পান প্রকাশ্যে আমাকে মেরে ফেলবেন।’
ফেসবুকে সরব থাকার পরও আসামিদের গ্রেপ্তার করতে না পারা প্রসঙ্গে শাহপরাণ থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) কাইয়ুম চৌধুরী গণমাধ্যমকে বলেন, ‘আমরা তাদের গ্রেপ্তারে সব ধরনের চেষ্টা চালিয়ে যাচ্ছি।’