শুক্রবার, ২৬ ফেব্রুয়ারী ২০২১, ১২:৪২ পূর্বাহ্ন
বরিশালে পারাবত-১১ লঞ্চে খুন হওয়া লাবনীর সন্দেহভাজন হত্যাকারী মনিরুজ্জামান নামে একজনকে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ ব্যুরো অব ইনভেস্টিগেশন (পিবিআই)। গ্রেপ্তার হওয়া মনিরুজ্জামানকে (৩৪) রাজধানী মিরপুরের দারুস সালামে আত্মগোপন করেছিল। পুলিশ ব্যুরো অব ইনভেস্টিগেশন (পিবিআই) বরিশাল জেলার একটি টিম তাকে মঙ্গলবার রাতে সেখান থেকে গ্রেপ্তার করে। এসময় নারী খুনে ব্যবহৃত আলামত উদ্ধার করা হয়েছে। বুধবার তাকে বরিশালে নিয়ে আসে এবং এক সংবাদ সম্মেলন করে নারীর খুনের নেপথ্য কারণ তুলে ধরেন।
পুলিশ ব্যুরো অব ইনভেস্টিগেশন সূত্র জানায়, গ্রেপ্তার মনিরুজ্জামান গাজীপুরের কাপাসিয়া থানার আব্দুস শহিদের ছেলে।
সোমবার সকালে পারা বাত ১১ লঞ্চের ৩৯১ নম্বর কেবিন থেকে এক নারীর মরদেহ উদ্ধার করে পুলিশ। ৩৫ ঘন্টার মধ্যে তার পরিচয় শনাক্ত করে পিবিআই।
পুলিশ সুপার জানান, পিবিআই তদন্তের প্রথমভাগেই অজ্ঞাত ওই নারীর পরিচয় জানতে পারে। জান্নাতুল ফেরদৌস লাবনী নামে ওই নারীর গ্রামের বাড়ি ফরিদপুরের ভাঙ্গা থানার আদমপুর এলাকায়। যদিও সে ঢাকার মিরপুরের পল্লবীতে বসবাস করতেন। লঞ্চের সিসি টিভির ফুটেজ দেখে সনাক্ত করা ওই নারীর সাথে লঞ্চে আগমন করা ব্যাক্তির সন্ধানে নামে পিবিআই। এক পর্যায়ে সনাক্ত হওয়া ব্যাক্তিকে তথ্য প্রযুক্তির সহায়তায় মিরপুর থেকে গ্রেপ্তার করা হয়। গ্রেপ্তার হওয়া ব্যক্তির সাথে লঞ্চের সিসি ক্যামেরার ফুটেজের ছবি মিলিয়ে নিশ্চিত হওয়া গেছে।
অপরদিকে গ্রেপ্তারের সময় তার কাছ থেকে লাবনীর ব্যবহৃত ওড়না, মোবাইলসহ বিভিন্ন আলামত উদ্ধার করা হয়। পাশাপাশি মনিরুজ্জামানকে লঞ্চে যে শার্টটি পরিহিত অবস্থায় দেখা গেছে সেটিও উদ্ধার করা হয়েছে।
প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদে আসামী জানায়, তারা সম্পর্কে স্বামী-স্ত্রী। লঞ্চযোগে রাতে বরিশাল যাবার পথে কেবিনে তাদের ঝগড়া হয়। ঝগড়ার এক পর্যায়ে ওড়না দিয়ে পেচিয়ে লাবনীকে হত্যা করা করে মনিরুজ্জামান। লঞ্চেটি বরিশালে পৌঁছলে মনিরুজ্জামান কৌশলে পালিয়ে বাসযোগে ঢাকা চলে যায়।
পুলিশ আরো জানায়, এটি তার ৩য় বিবাহ। আর নিহত লাবনীরও আগে বিয়ে হয়েছিলো। তবে এই দুই জনের মধ্যকার আসল সম্পর্ক উদঘাটনে আরো সময় লাগবে।