শুক্রবার, ২২ জানুয়ারী ২০২১, ০৯:৪৪ পূর্বাহ্ন
বিয়ে হয়েছে তিন মাস আগে। সংসারও চলছিলো ভালোই। কিন্তু সুখের সংসারে মাত্র তিনমাস পরেই নববধূর কোলজুড়ে আসে ফুটফুটে পুত্রসন্তান। মাত্র তিন মাসের ব্যবধানে সন্তান প্রসবের রহস্যজনক প্রশ্ন ঘুরছে ভিমরুল্লা এলাকা থেকে পুরো চুয়াডাঙ্গা শহরে।
ঘটনা এখানেই শেষ নয়, ওই তরুণী হাসপাতালে আসলে বিষয়টি আরও জানাজানি হতে থাকে। এক পর্যায়ে হাসপাতালের বেডে সন্তান প্রসবের সাথে ওই তরুণীর হাতে পৌঁছায় ডিভোর্সের চিঠি।
স্থানীয় সূত্রে জানা যায়, মাস তিনেক আগে চুয়াডাঙ্গার আলমডাঙ্গা উপজেলার কয়রাডাঙ্গা গ্রামের নারীর সাথে চুয়াডাঙ্গা শহরের ভিমরুল্লা গ্রামের এক যুবক পারিবারিকভাবে বিবাহ বন্ধনে আবদ্ধ হন।
বিয়ের পর থেকে তারা ভালোভাবে সংসার করেছিল। দাম্পত্য জীবনেও ছিল না কোনো কলহ। তাদের সেই সুখের সংসারে বাঁধ সাধে একটি পুত্রসন্তান।
শনিবার (২ জানুয়ারি) রাত ১২টার দিকে শ্বশুরবাড়িতে অবস্থানকালে বাথরুমের ভেতরেই একটি পুত্রসন্তানের জন্ম দেয় নববধূ। পরে শ্বশুরবাড়ির লোকজন প্রাথমিকভাবে বিষয়টি বুঝতে পেরে তার পরিবারকে জানায়।
ঘটনা জানার পর পরিবারের সদস্যরা তাকে উদ্ধার করে চুয়াডাঙ্গা সদর হাসপাতালে ভর্তি করে। নবজাতক ও মা দুজনই হাসপাতালে ভর্তি হলে গতকাল রোববার বিষয়টি আরও জানাজানি হয়। নববধূর সন্তান প্রসবের খবর দ্রুতই ছড়িয়ে পড়ে শহরের আনাচে-কানাচে।
এ ঘটনাকে ঘিরে সৃষ্টি হয় নানা আলোচনা-সমালোচনার। ঘটনার পরই হাসপাতালে ভর্তি থাকা অবস্থায় ওই নারীকে গতকাল সকালে তালাকনামা পাঠায় স্বামী।
নববধূর বাবার অভিযোগ, স্বামীর পরিবারের লোকজন স্থানীয় জনপ্রতিনিধিদের ডেকে এনে তাদেরকে নানা ধরনের হুমকি-ধমকি দেয়। একপর্যায়ে তালাকনামা নিয়ে এসেও তার মেয়ের কাছ থেকে জোরপূর্বক স্বাক্ষর করিয়ে নেয়।
ওই নববধূ জানান, কয়রাডাঙ্গা গ্রামের এক যুবকের সাথে দীর্ঘদিন ধরে তার প্রেমের সম্পর্ক ছিলো। বিয়ের আগে থেকেই ওই যুবকের সাথে তার ঘনিষ্ঠতাও ছিলো।
স্বামীর বড়ভাই বলেন, ‘জন্ম দেয়া সন্তান আমার ভাইয়ের নয়। আমরা কেনো ওই সন্তানের দায়ভার নেব। তাই আমরা বাধ্য হয়ে তালাকনামা পাঠিয়েছি।’
তবে এ ব্যাপারে কোনো পক্ষ এখনও আইনের দারস্ত হয়নি বলে জানা গেছে।