বৃহস্পতিবার, ০৪ মার্চ ২০২১, ০৬:২৬ অপরাহ্ন
বীরশ্রেষ্ঠ নূর মোহাম্মদ শেখের ৪৯তম মৃত্যুবার্ষিকী আজ শনিবার (৫ সেপ্টেম্বর)। ১৯৭১ সালের এই দিনে যশোর জেলার গোয়ালহাটি ও ছুটিপুরে পাকিস্তান বাহিনীর সঙ্গে সম্মুখযুদ্ধে মৃত্যুবরণ করেন নূর মোহাম্মদ। যশোরের শার্শা উপজেলার কাশিপুর গ্রামে তাকে সমাহিত করা হয়।
১৯৭১ সালের এই দিন যশোরে পাকিস্তানি সেনাবাহিনীর বিরুদ্ধে সম্মুখযুদ্ধে অংশ নিয়ে দেশের জন্য জীবন উৎসর্গ করায় সর্বোচ্চ সামরিক পুরষ্কারে ভূষিত হন নূর মোহাম্মদ শেখ। দিনটি উপলক্ষে বীরশ্রেষ্ঠ নূর মোহাম্মদ শেখ ট্রাস্ট ও নড়াইল জেলা প্রশাসন সদর উপজেলার চান্দিবারপুর ইউনিয়নে প্রশস্ত পোরোগ্রাম দিনব্যাপী কর্মসূচি গ্রহণ করেছে। কর্মসূচির মধ্যে রয়েছে পবিত্র কুরআন তেলাওয়াত, বীরশ্রেষ্ঠ নূর মোহাম্মদ শেখের প্রতিকৃতিতে পুষ্পস্তবক অর্পণ, গার্ড অব অনার প্রদর্শন এবং দোয়া মাহফিল অনুষ্ঠান। প্রধান অতিথি হিসাবে দোয়া মাহফিলে অংশ নেবেন বীরশ্রেষ্ঠ নূর মুহাম্মদ ট্রাস্টের সভাপতি ও জেলা প্রশাসক (ডিসি) আঞ্জুমান আরা।
নূর মোহাম্মদ শেখের জন্ম ১৯৩৬ সালের ২৬ ফেব্রুয়ারি, নড়াইল জেলার মহিষখোলা গ্রামে। বাবা মোহাম্মদ আমানত শেখ, মা জেন্নাতুন্নেসা। শৈশবেই বাবা-মাকে হারানোয় পড়াশোনা করতে পারেননি বেশি। ১৯৫৯ সালে যোগ দেন পূর্ব পাকিস্তান রাইফেলস (ইপিআর)-এ। ১৯৭০ সালে ল্যান্স নায়েক পদে উন্নীত হয়ে আসেন যশোর সেক্টর সদর দফতরে। ১৯৭১ সালের মার্চ মাসে গ্রামের বাড়িতে ছুটি কাটাতে আসেন নূর মোহাম্মদ। জাতির ক্রান্তিলগ্নে নিজেকে দূরে সরিয়ে রাখতে পারেননি তিনি। যোগ দেন মুক্তিবাহিনীতে। ১৯৭১-এর ৫ সেপ্টেম্বর নূর মোহাম্মদকে অধিনায়ক করে একটি স্ট্যান্ডিং পেট্রল পাঠানো হয় যশোর জেলার গোয়ালহাটি গ্রামে। টের পেয়ে পাক সেনারা চারদিক থেকে ঘিরে ফেলে তাদের। শুরু হয় গুলিবর্ষণ। সহযোদ্ধাদের বাঁচাতে জীবনবাজি রেখে আক্রমণের মোকাবিলা করতে থাকেন নূর মোহাম্মদ শেখ। এক পর্যায়ে কামানের গোলার আঘাতে লুটিয়ে পড়েন সেখানেই। পরে তার মরদেহ উদ্ধার করেন সহযোদ্ধারা।