বৃহস্পতিবার, ৩০ Jun ২০২২, ০৯:৫০ পূর্বাহ্ন
নোয়াখালীর বেগমগঞ্জ উপজেলায় স্বামীকে বেঁধে রেখে স্ত্রীকে বিবস্ত্র করে নির্যাতনের যে ভিডিও ফুটেজ সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে রয়েছে, তা সরাতে বিটিআরসি চেয়ারম্যানকে নির্দেশ দিয়েছেন হাইকোর্ট। গত মাসের শুরুর দিকে এ ঘটনা ঘটলেও এতদিন পুলিশ কী করেছে সে বিষয়ে প্রশ্ন তোলা হয়েছে। ৩২ দিন আগে এই ঘটনা ঘটিয়েছে কিছু দুষ্কৃতকারী। কিন্তু এতদিনেও কেন তা আইনশৃঙ্খলা বাহিনী বা প্রশাসনের নজরে এলো না? সোমবার (৫ অক্টোবর) হাইকোর্টের বিচারপতি মো. মজিবুর রহমান মিয়া ও বিচারপতি মহিউদ্দিন শামীমের সমন্বয়ে গঠিত বেঞ্চ (ভার্চুয়াল) এমন মন্তব্য করেন।
এ ছাড়া ওই নারীর পরিবারকে সব ধরনের নিরাপত্তা দিতে নোয়াখালীর পুলিশ সুপারকে নির্দেশ দিয়েছেন আদালত। এছাড়াও আদালত বলেছেন, ‘এই বর্বর ঘটনা যদি সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে উঠে না আসত তাহলে এত বড় অপরাধের কথা গোপনই থেকে যেত। ৩২ দিন আগে এই ঘটনা ঘটিয়েছে কিছু দুষ্কৃতকারী। কিন্তু এতদিনেও কেন তা আইনশৃঙ্খলা বাহিনী বা প্রশাসনের নজরে এলো না? তাহলে কি ওই সংঘটিত ঘটনার পেছনে যারা দায়ী তাদের পেছনে কোনো ক্ষমতাধর ব্যক্তির প্রভাব ছিল? সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে যখন এ ধরনের বর্বর ঘটনার ভিডিও ভাইরাল হয় তখন বহির্বিশ্বে দেশের ভাবমূর্তি ক্ষুণ্ণ হয়।’
এ ঘটনায় হাইকোর্ট আগামী ২৮ অক্টোবরের মধ্যে বেগমগঞ্জ থানার ওসিকে মামলার তদন্তের সর্বশেষ অগ্রগতি জানাতে আদেশ দিয়েছেন। এ ছাড়া এক রুলে ওই নারীকে রক্ষায় এবং দুর্বৃত্তদের বিরুদ্ধে দ্রুত পদক্ষেপ নিতে অবহেলার কারণে বেগমগঞ্জের ওসি ও বেগমগঞ্জ থানার কর্মকর্তাদের বিরুদ্ধে যথাযথ আইনগত ও বিভাগীয় ব্যবস্থা নেওয়ার নির্দেশ কেন দেওয়া হবে না, তাও জানতে চেয়েছেন হাইকোর্ট। দুই সপ্তাহের মধ্যে স্বরাষ্ট্র সচিব, নোয়াখালীর জেলা প্রশাসক ও বেগমগঞ্জের ইউএনওসহ সংশ্লিষ্টদের এ রুলের জবাব দিতে বলা হয়েছে।
সেইসঙ্গে দুষ্কৃতকারীদের বিরুদ্ধে আইনগত ব্যবস্থা গ্রহণে আইন প্রয়োগকারী সংস্থার কোনো অবহেলা আছে কিনা তা অনুসন্ধানে গঠন করে দেওয়া হয়েছে তিন সদস্যের কমিটি। নোয়াখালীর অতিরিক্ত জেলা প্রশাসকের নেতৃত্বে গঠিত এই কমিটিতে রাখা হয়েছে জেলা সমাজসেবা কর্মকর্তা ও চৌমুহনী সরকারি এসএ কলেজের অধ্যক্ষকে। আগামী ১৫ কার্যদিবসের মধ্যে কমিটিকে হাইকোর্টের রেজিস্ট্রারের কাছে প্রতিবেদন জমা দিতে বলা হয়েছে।