রবিবার, ২৮ ফেব্রুয়ারী ২০২১, ০৬:২২ পূর্বাহ্ন
বিয়ের ১৫ দিনের মাথায় কিশোরগঞ্জের করিমগঞ্জে রুবা আক্তার নামে এক নববধূকে হত্যার দায়ে ছয়জনের যাবজ্জীবন কারাদণ্ড দিয়েছে আদালত। তারা সবাই একই পরিবারের সদস্য।
সোমবার সকাল সাড়ে ১০টার দিকে কিশোরগঞ্জের প্রথম অতিরিক্ত জেলা ও দায়রা জজ আদালতের বিচারক মো. আব্দুর রহিম এই আদেশ দেন। রায়ে প্রত্যেককে এক লাখ টাকা করে অর্থদণ্ডও করা হয়েছে।সাজাপ্রাপ্ত আসামিরা হলেন, লুৎতু ওরফে রুকন, রুকনের চাচাতো ভাই শরীফ, শরীফের বাবা সোহরাব, সোহরাবের স্ত্রী জোৎস্না, মুসলিম ও মুসলিমের স্ত্রী নূর নাহার। এরা সবাই সম্পর্কে রুবার স্বামী শামীমের চাচা, চাচি, চাচাতো ভাই ও তার স্ত্রী। রায় ঘোষণার সময় দণ্ডপ্রাপ্তরা আদালতে উপস্থিত ছিলেন।
মামলা সূত্রে জানা যায়, ২০০১ সালের ২০মে করিমগঞ্জ উপজেলার ভাটিয়া মোগলপাড়া গ্রামের আ. কদ্দুসের ছেলে শামীমের সঙ্গে বিয়ে হয় তার চাচাতো বোন একই গ্রামের আবুবকর সিদ্দিকের মেয়ে রুবার। এ বিয়েতে শামীমের মত ছিল না।
বিয়ের ১৫ দিন পর ২০১১ সালের ৩ জুন রাতে আসামিরা শ্বাসরোধ করে রুবাকে হত্যা করে বাড়ির পেছনের ডোবায় ফেলে রাখে। খবর পেয়ে ওই রাতেই মরদেহ উদ্ধার করে পুলিশ।
এ ঘটনায় রুবার ভাই আলামিন বাদী হয়ে পরদিন রুবার স্বামীসহ সাতজনকে আসামি করে করিমগঞ্জ থানায় হত্যা মামলা করেন। তদন্ত শেষে একই বছরের ৩০ ডিসেম্বর শামীম ছাড়া অপর ছয়জনের নামে আদালতে চার্জশিট দেন করিমগঞ্জ থানার পরিদর্শক (তদন্ত) খন্দকার শওকত জাহান। দীর্ঘ সাক্ষ্যপ্রমাণ শেষে আদালত আজ এই রায় ঘোষণা করেন।
রাষ্ট্রপক্ষে মামলা পরিচালনা করেন আইনজীবী সৈয়দ শাহজাহান। অন্যদিকে আসামিপক্ষে মামলা পরিচালনা করেন আইনজীবী অশোক সরকার।